বুধবার । ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৫ । ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

ভারত ছেড়ে এবার নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে কামাল

গেজেট প্রতিবেদন

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারত ছাড়ছেন। মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই এমন কোনো দেশে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি নেই, এমন দেশে যাওয়ার চেষ্টাও করছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার পরপরই তিনি কলকাতার রোজডেলে এলাকা ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছেন। তাই কয়েকদিন ধরে কলকাতায় অবস্থানকারী নিজ দলের নেতাকর্মীসহ কেউই তার সাক্ষাৎ পাননি।

বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র এবং ভারতের একাধিক কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। অবশ্য কামাল নিজেও ভারত ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভারতে বেশিদিন থাকা নিরাপদ মনে করছি না। এখনই আমাকে বিকল্প চিন্তা করতে হচ্ছে।’

জুলাই বিপ্লবে গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালও পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। জুলাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের এ রায়ের পর শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরত চেয়ে ভারত সরকারের কাছে কূটনৈতিক চিঠি দেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এ চিঠি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলে এরই মধ্যে জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

ওই রায় ঘোষণার পর একটি আঞ্চলিক জোটের সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি যান বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। সফরকালে গত ১৯ নভেম্বর ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয় তার। কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, ওই বৈঠকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাসিনা ও কামালের প্রত্যর্পণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলে যোগাযোগের মধ্যেই সামনে আসে কামালের ভারত ছাড়ার প্রচেষ্টার তথ্য।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখার দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের সূত্র ধরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালকে ফেরত চেয়ে ঢাকার তরফ থেকে দিল্লিকে চিঠি দেওয়ার পর বিচলিত হয়ে পড়েন তিনি। ইতোমধ্যেই তিনি তার এক বছরের পুরোনো ঠিকানা পরিবর্তন করে সে দেশেরই অজ্ঞাত স্থানে আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।

ভারত ছাড়ার বিষয়ে কামালের টেলিকথোপকথন

সম্প্রতি আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারতে অবস্থানকারী তার এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির সঙ্গে ফোনালাপে জানান, সেখানে অবস্থান করা আর নিরাপদ নয়। সম্প্রতি তিনি ওই ব্যক্তির (নিরাপত্তার জন্য নাম ও পরিচয় প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক) সঙ্গে টেলিফোনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার মৃত্যুদণ্ডের রায়, ভারত সরকারের আশ্রয় দেওয়া এবং প্রত্যর্পণের বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তিন মিনিটের ওই কথোপকথনের অডিও রেকর্ড প্রকাশ পেয়েছ।

পূর্ব পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতার সূত্র টেনে ওই ব্যক্তি টেলিফোনে কামালের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ চান। কামাল আপাতত দেখা করতে অসম্মতি জানিয়ে বলেন, আপাতত দেখা করতে চাচ্ছি না। কয়েকদিন পরে প্রয়োজনে আমিই ডেকে কথা বলব। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমি তো আপনার বাসার সামনে চলে এসেছি। যেহেতু এসেই পড়েছি, একটু দেখা করে দু-একটি কথা বলেই চলে যাব’। এ পর্যায়ে কামাল বলেন, ‘আমি এখন ওই ঠিকানায় থাকি না। ওইখান থেকে অন্যত্র চলে এসেছি। আর ভারত তাদের দেশে আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। আমাদেরও এমন কোনো কাজ করা ঠিক নয়, যাতে তাদের সমস্যা হয়।’

নতুন ঠিকানার কথা গোপন রেখে ওই ব্যক্তিকে কামাল আরো বলেন, ‘আমি তো এখানেও নিরাপদ মনে করছি না। নতুন কোনো চিন্তা করতে হচ্ছে।’ নতুন চিন্তার বিষয়ে পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।

অবৈধ পথে ভারতে পলায়ন

হাসিনার পতনের পর পালাতে গিয়ে সীমান্ত এলাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তৎকালীন মন্ত্রী আনিসুল হক, ডা. দীপু মনি, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ ফারুক খান, ইমরান আহমেদ, ফরহাদ হোসেন, সাধন চন্দ্র মজুমদার, টিপু মুনশি, গোলাম দস্তগীর গাজী, আসাদুজ্জামান নূর, নুরুল ইসলাম সুজন, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুস শহীদ, র আ ম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী, আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, নুরুজ্জামান আহমেদ, আমির হোসেন আমু, রাশেদ খান মেনন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, হাসানুল হক ইনু, কামরুল ইসলাম, শাজাহান খান ও রমেশ চন্দ্র সেন গ্রেপ্তার হন। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী কারাগারে রয়েছেন।

গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন মামলায় কারাগারে আছেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম, মাহবুব আলী, জাহিদ ফারুক, কামাল আহমেদ মজুমদার, জাকির হোসেন, শহীদুজ্জামান সরকার, ডা. এনামুর রহমান ও দীপংকর তালুকদার। উপমন্ত্রীদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরিফ খান জয়, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ও ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। এদের মধ্যে সাবেক শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, দেশের কোনো বন্দর ব্যবহার না করে যাতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো মন্ত্রী কিংবা জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কেউ দেশত্যাগ করতে না পারে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। তবে এর মধ্যেও বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ পথে অনেকেই দেশত্যাগ করেছেন। আসাদুজ্জামান খান কামালও অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে কামালকে কলকাতার একটি পার্কে আওয়ামী লীগের আরো কয়েক নেতার সঙ্গে দেখা গেছে। এমন সংবাদ সংবাদপত্রে প্রকাশের পর মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশের বিশেষ শাখা ও অন্যান্য সংস্থার কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছিল। তাদের প্রতিবেদনগুলো আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি। তাতে বৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার কোনো রেকর্ড ও তথ্য নেই। আমরা এটা নিশ্চিত হয়েছি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবৈধভাবেই সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পালিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা মনে করেন, আসাদুজ্জামান খান কামালকে অন্য কোনো নিরাপদ দেশে আশ্রয় নেওয়ার জন্য পাঠাতে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে পারে ভারত।

ওই কর্মকর্তা বলেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের নির্দেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় এক হাজার ৪০০ নিরস্ত্র মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আরো কয়েক হাজার মানুষ চিরতরে পঙ্গু হয়েছেন। এ বিষয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন রয়েছে। এরপরও তারা পালিয়ে ভারতে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। এখন তাদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছে। আমরা ভারতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকব।

তিনি আরো বলেন, আপনাদের নিশ্চয় মনে আছেÑশেখ হাসিনা একবার বলেছিলেন যে তিনি ‘ভারতকে যা দিয়েছেন, তাতে ভারত আজীবন তাকে মনে রাখবে’। ভারত খুব স্বাভাবিকভাবেই নিজ দেশে হোক কিংবা অন্য কোনো তৃতীয় দেশেই হোক তাদের নিরাপদে রাখার চেষ্টা করবে।

দ্রুত ভারত ছাড়তে চান কামাল

ভারত থেকে দ্রুত অন্য দেশে পাড়ি দিতে চান কামাল এমন তথ্য দিয়েছে ভারতের একটি কূটনৈতিক সূত্র। সূত্রটি জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ার পরপরই তাকে ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় তাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার তরফ থেকে গত ২১ নভেম্বর দিল্লিকে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠির কথা পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় কার্যকর করার জন্য শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরত চেয়ে কূটনৈতিক মারফতে নোটভারবাল (চিঠি) দিয়েছি।

বাংলাদেশের ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে ভারতও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নয়াদিল্লিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘আমরা চলমান বিচারিক ও অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের অনুরোধপত্রটি পরীক্ষা করে দেখছি। আমরা সব সময় প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতাসহ সে দেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা অব্যাহতভাবে সব অংশীজনের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকব।’

ভারতের সূত্রটি জানায়, বাংলাদেশের চিঠি ও ভারতের প্রতিক্রিয়ায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ ঘাবড়ে গেছেন। তিনি ওইদিন তার কলকাতার ডেরা পাল্টে অন্যত্র এক অজানা গন্তব্যে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে চলাচলে কোনো বিধিনিষেধ না থাকলেও তিনি নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছেন। এর আগে তিনি কলকাতায় অবস্থানকারী তার দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর সঙ্গে নিয়মিতই বসতেন। এখন সবার আড়ালে চলে গেছেন।

সূত্র জানায়, ভারত থেকে আসাদুজ্জামান খান কামাল দ্রুতই অন্য কোনো দেশে আশ্রয় নিতে যাচ্ছেন এমন তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে দেশের একটি সংস্থা।

সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা জানতে পেরেছি পলাতক সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ভারত থেকে দ্রুতই অন্য দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন এমন তথ্য আমাদের কাছে এসেছে। এখন আমরা ভারতের জবাবের অপেক্ষায় আছি। আমরা আশা করছি অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার আগেই ভারত আমাদের চিঠির যথাযথ মর্যাদা দিয়ে তাকে ঢাকার হাতে তুলে দেবে।’

ফিরবেন ‘ঢাকার কসাই’

আসাদুজ্জামান খান কামালকে ‘ঢাকার কসাই’ উল্লেখ করে তাকে দিয়েই দণ্ডিতদের প্রত্যর্পণের সূচনার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গত ২৮ নভেম্বর এ বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ঠেকাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত হওয়ার পর শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের অনুরোধ খতিয়ে দেখছে ভারত। তবে সেই প্রত্যর্পণের শুরুটা হবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজাপ্রাপ্ত আসামি আসাদুজ্জামান খান কামালকে দিয়ে।’

শফিকুল আলম আরো লেখেন, কামাল এবং জুলাই গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে। ভারত ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই মাসের একটি গণহত্যা মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধটি তারা পর্যালোচনা করছে।

প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘ঢাকার কসাই’ হিসেবে পরিচিত আসাদুজ্জামান খান কামালকে খুব শিগগির বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

সূত্র : আমার দেশ।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন